ওমা! এটা কি গরু না হাতি?
ঈদুল আজহার আর মাত্র চারদিন বাকি। এর মধ্যে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসেছে গাবতলীতে। এ বাজারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গরুর নাম ‘পাগলু’ ও ‘কালো মানিক’। দাম হাকা হয়েছে যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ২৫ লাখ টাকা।
আজ শনিবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, গাবতলী পশুর হাটে সবচেয়ে বেশি গরু উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন বিক্রি হচ্ছে না। ক্রেতার তুলনায় দেখার লোকই বেশি। হাটের মাঝখানে রাখা হয়েছে বড় বড় গরুগুলো। এর মধ্যে সাভারের আমিন বাজার থেকে আসা ‘পাগলু’ ও ‘কালো মানিক’ সব চেয়ে বড় গরু। আবদুল করিম নামের এক ব্যবসায়ী এ দুটি গরুর মালিক। এ দুটি গরু দেখতে গাবতলীর হাটে ভিড় জমাচ্ছে শত শত মানুষ। দেখতে আসা সাধারণ মানুষ গরু দেখে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন।
অনেক কিশোর বিভিন্নভাবে দাঁড়িয়ে ‘পাগলু’র সঙ্গে মুঠোফোনে সেলফি তুলছে। কেউবা গরুটিকে একবার ধরে দেখে মনের ইচ্ছা পূরণ করছেন।
এর মধ্যে বাবার সঙ্গে গরু দেখতে আসা জিসান নামের (৮) এক শিশু বলে, ‘ওমা! এটা কি গরু না হাতি?’ পাশে শাহীন নামের এক লোক বলেন, ‘এত বড় গরু আগে দেখিনি।’
গাবতলী পশুর হাটে যারাই এসেছেন অধিকাংশ মানুষ পাগলু ও কালোমানিককে দেখতে যাচ্ছেন।
রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাটে আসা এই গরুর নাম পাগলু। বিক্রেতা আবদুল করিম এর দাম চেয়েছেন ৩০ লাখ টাকা। ছবি : মোহাম্মদ ইব্রাহিম
এ বিষয়ে গরু দুটির মালিক আবদুল করিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সাভারের আমিন বাজারে আমার বসত বাড়ি। একটি দুধের খামার তৈরি করেছি। এর মধ্যে সাড়ে চার বছর আগে পাগলু ও কালো মানিকের জন্ম হয়। এরপর দুটি বাচ্চা লালন-পালন করার পর বড় হয়েছে। এ দুটি গরুই এখন পর্যন্ত গাবতলী বাজারের সবচেয়ে বড় গরু।’
আবদুল করিম পাগলুর দাম হাঁকাচ্ছেন ৩০ লাখ টাকা আর কালো মানিকের দাম ২৫ লাখ টাকা। তিন দিন আগে গাবতলীর হাটে এসব গরু আনা হয়েছে।
গাবতলীর পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বিক্রেতাই অলস সময় পার করছেন। এখনো তেমন পশু বিক্রি হচ্ছে না। গরু নির্ধারিত জায়গায় বেঁধে নিজেরা পাশে খালি জায়গায় ঘুমাচ্ছেন। কেউ রান্না করছেন। এভাবেই সময় পার করছেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া থেকে আসা রবিউল নামের এক ব্যবসায়ী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ভাই, ঢাকা শহরে তো গরু কিনে রাখার জায়গা নেই। এ কারণে মানুষ ঈদের একদিন আগে কিনে। তবে আমরা বাজারের জায়গা ধরতে আগে থেকেই চলে এসেছি। বড় শখ করে পালন করা পশু ঢাকায় নিয়ে এসেছি ভালো মূল্য পাওয়ার আশায়। বাজার এখনো জমেনি।’
রাজধানীতে পশু রাখার জায়গার সংকুলানের কারণে হাটে ক্রেতা সমাগম খুবই কম। যারা এসেছে, কেনার চেয়ে বাজার যাচাইয়ে বেশি মনোযোগী তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় গরু অবাধে না এলেও নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের গরু বাজারে উঠেছে। ক্রেতা সমাগম এখন কম থাকলেও আগামীকাল থেকে বেচাকেনা জমে ওঠার আশা ব্যবসায়ীদের। বুধবার ঈদ হওয়ায় আগামীকাল রোববার বা সোমবার থেকে হাট জমজমাট হওয়ার আশা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই।