শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে এখনো বন্ধ রো রো ফেরি
দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে নাব্য সংকট কিছুটা কাটিয়ে এখন ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তবে চারটি রো রো ফেরি এখনো চলতে পারছে না। ঘাট এলাকায় এখনো দুই শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আছে। নাব্য সংকটের কারণে সমস্যা পুরোপুরি নিরসন না হলেও ঘাট এলাকায় গাড়ির স্বাভাবিক চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার সকাল থেকেই নৌপথে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। এগুলো হলো কে-টাইপ ও মাঝারি ফেরির সঙ্গে ডাম্প ফেরি।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, নৌপথে বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। নাব্য সংকটের কারণে চ্যানেলের মুখে ডাম্প ফেরিগুলো চালাতে সমস্যা হচ্ছে। রো রো ফেরি চলছে না।
খালেদ নেওয়াজ আরো বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই পাড় মিলিয়ে ৬৯টি যাত্রীবাহী বাস, ২৪৮টি ট্রাকসহ মোট এক হাজার ৯৪০টি যানবাহন পার করা হয়েছে। ঘাটের বাইরে ৫০টির মতো ট্রাক আছে, যেগুলো আমরা এখন পার করব না। এ ছাড়া গরু বহন করার কাজে ব্যবহৃত ট্রাকগুলো আমরা পার করে দিচ্ছি।
মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক পরিদর্শক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘাট এলাকায় বর্তমানে দুই শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি আছে। তবে গাড়ির যেই সংখ্যা তা শিমুলিয়া ঘাটের জন্য স্বাভাবিক চাপ বলে জানান তিনি।
এদিকে, ঘাটে ফেরি চলাচলে বিঘ্নতার কারণে বেশিরভাগ যাত্রীবাহী বাস ঘাটে যাত্রীদের নামিয়ে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে ফিরে যাচ্ছে। যাত্রীরা লঞ্চ ও স্পিডবোটে নদী পার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, সকাল থেকেই লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ লক্ষ করা গেছে। ৮৭টি লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে। তবে চাপ থাকলেও যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করছে।