প্রথম দিনে রেল ছিল মোটামুটি ‘নির্বিঘ্ন’
ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে বাড়ি ফেরা শুরু করেছে মানুষ। এ কারণে রাজধানীর বাস স্টেশনের পাশাপাশি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় জমেছে সবচেয়ে বেশি। তবে ঈদযাত্রার প্রথম দিন অর্ধশতের বেশি ট্রেনের মধ্যে তিনটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। বাকি ট্রেনগুলো মোটামুটি সময়মতো ছেড়ে গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের ভিড়। পরিবার-পরিজন নিয়ে স্টেশনে এসেছেন অনেকেই। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ভরে যাচ্ছে।
ঈদযাত্রার প্রথম দিনই খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ও চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা। কিন্তু ট্রেনটি স্টেশনে আসতে দেরি হওয়ায় ৮টা ৫০ মিনিটেও ছেড়ে যেতে পারেনি। এ সময় ট্রেনটি অবস্থানের নির্ধারিত ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অনেক যাত্রীকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দিষ্ট বগিতে উঠতে শুরু করেন যাত্রীরা।
এ ছাড়া খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছেড়ে গেছে। একইসঙ্গে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক সীতাংশু চক্রবর্তী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সকালে সুন্দরবন, তিস্তা ও নীলসাগর এক্সপ্রেস আসতে বিলম্ব হয়েছিল। ঈদের সময় স্টেশনে স্টেশনে একটু বেশি সময় দাঁড়াতে হয়। মূলত এই কারণেই যা দেরি হওয়ার হয়েছে। এ ছাড়া সকালের পর থেকে আর কোনো ট্রেন বিলম্ব হয়নি।’
ব্যবস্থাপক আরো বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বেশ সতর্ক অবস্থায় আছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেজন্য স্টেশনে পুলিশ, র্যাব, আরএনবিসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও আছে কমলাপুরে। শুধু ট্রেনের ছাদের যাত্রা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’
সীতাংশু চক্রবর্তী আরো বলেন, ‘আজ ভোর থেকে শুরু করে ৫৯টি ট্রেন সারা দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর কথা। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ত্রিশটির বেশি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে গেছে।’
আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসাসিন মজুমদার ফারুক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সারা দিনে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ঘরমুখো মানুষ যাতে গ্রামের বাড়িতে ভালোভাবে ফিরতে পারে তার জন্য যা যা করার দরকার সবই আমরা করছি। আশা করছি, ট্রেন যাত্রীদের ঈদের আগের এবং পরের ট্রেন যাত্রা শান্তিপূর্ণ হবে।’