প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খুনিদের রাজত্ব এ দেশে আর আসবে না। আসতে দেওয়া হবে না।’

আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওই আলোচনাসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব এটাই আজকের দিনে আমার প্রতিজ্ঞা। এ প্রতিজ্ঞা আওয়ামী লীগের। মুজিব আদর্শের সৈনিক প্রত্যেককে এ আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া না, জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে যখন আলাদা চেতনা, উদ্দীপনা এসেছে তখন এ শ্রেণিটার মন খুব খারাপ। মানুষের ভালো হওয়াটা তাদের কাছে ভালো লাগছে না। তারা জাতির শত্রু, তারা দেশের শত্রু। যারা ওই শিশুদের নিয়ে খেলতে চায়, শিশুদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়; তারা বাংলাদেশের জনগণের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়। আলোর পথে যাত্রায় বাধা দিতে চায়।’

গতকাল বুধবার ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের শোকাবহ এ কালোদিবসে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

গতকাল সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে অন্য শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

একইদিন সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সেখানে ফাতেহা পাঠ, সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি সমাধিস্থলে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।