ঢাকার পশুর হাট জমে ওঠার অপেক্ষায়
কয়দিন পরই ঈদুল আজহা। রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাটে এখনো বেচাবিক্রি জমে ওঠেনি। চলছে শেষ সময়ের সব কাজের প্রস্তুতি।
গতকাল বুধবার রাজধানী ঢাকার গাবতলী, শনির আখড়া, রায়েরবাগ পশুর হাঁটে এ চিত্র দেখা যায়।
গাবতলী পশুর হাটে দেখা গেছে, পশুর হাটের জন্য কেউ কেউ খুঁটি পুঁতে সামিয়ানা টানানোর কাজে ব্যস্ত, কেউ গরু বেঁধে রাখার জন্য খুঁটি প্রস্তুত করছে।
এদিকে, হাটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চলছে লাইটিংয়ের কাজ। পশুখাদ্য যেমন, খড় ও বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস, কাঁঠাল পাতা সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে।
গাবতলীতে হাটের ডেকোরেশনের কাজ করছে সুমি ডেকোরেশন। প্রায় ৮০ জন লোক পশুর হাট সাজানোর কাজ করছে। সুমি ডেকোরেশনের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ৮ আগস্ট থেকে হাটের বিভিন্ন ব্যাপারিদের পশু রাখার জন্য সামিয়ানা টানানোসহ সব ধরনের চলছে। আগামী শুক্রবার থেকে হাটে পশু আসা শুরু হবে বলে আশা তাঁর। ইজারাদার মো. লুতফর রহমানের কাছ থেকে সুমি ডেকোরেশন ৬০ লাখ টাকায় এ সাজানোর কাজ পেয়েছে।
এ ছাড়া সুমি ডেকোরেশনকে সহযোগিতা করছে মজুমদার ডেকোরেশন নামের আরেক প্রতিষ্ঠান। ডেকোরেশনের ম্যানেজার পান্না মজুমদার জানান, প্রায় সব কাজ শেষ। টুকটাক কিছু কাজ এখনো বাকি যা আজ-কালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
গাবতলী থেকে মুমিনুল হক নামের এক ব্যক্তি গরু কিনেছেন। দাম পড়েছে ৪১ হাজার টাকা। গরু নিয়ে যাওয়ার সময় আনন্দ করতে করতে তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে গরু কিনে লস হয়নি।’
গাবতলীর পশুর হাটের ব্যাপারি দুলাল জানান, তিনি বগুড়া থেকে ৮০টি গরু এবার গাবতলী হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসবেন। রাতেই গরুগুলো ট্রাকে করে গাবতলীতে আসবে। তাই শেষ সময়ের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গাবতলীর নিয়মিত পশুর হাটে ঘুরে দেখা যায়, সেখানে গরু, খাসি, উট এবং দুম্বা আছে। পশুগুলোকে ব্যাপারীরা ঘাস, ভুসিসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিচ্ছে। কেউ কেউ আবার এসব পশুকে পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিচ্ছে। এদের মধ্যে গোসল করানোর সময় ব্যবসায়ী আজগর আলী বলেন, ‘এখনো ঈদের বিক্রি শুরু হয়নি তেমন। সারাদিন পরে আজ দুপুরে (বুধবার) একটি গরু ৪১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আশা করছি আগামী শুক্রবার থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু করতে পারব।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গাবতলী পশুর হাটের পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কোরবানির জন্য পশুর হাটের কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। তবে খুব অল্প কাজ বাকি আছে। আগামী শুক্রবার হাটে গরু আসা শুরু হবে।
শনির আখড়া পশুর হাটের ব্যাপারী হায়দার জানান, তিনি এবার শতাধিক গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলবেন। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করছেন। বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানীতে সব ধরনের পশু চলে আসবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, শনির আখড়ায় অল্প সংখ্যক গরু ও খাসি হাটে উঠেছে। তবে ক্রেতা নেই বললেই চলে। এলাকাবাসী এসে এসে কৌতূহলবশত পশুর দাম জিজ্ঞেস করছে এমন চিত্র সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে।