জয়পুরহাটে পশুর হাটে ভিড়, দাম নিয়ে মিশ্র মত
ঈদের কাঙ্ক্ষিত দিনটি যতই এগিয়ে আসছে জয়পুরহাটের হাটগুলোতে ততই বাড়ছে কোরবানির পশুর আমদানি। সেই সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড়। ফলে কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে।
কিন্তু সীমান্তবর্তী এ জেলায় এবার ভারত থেকে গরু আমদানি করা হয়েছে বলে ব্যাপারিরা জানিয়েছেন। এ কারণে পশুর হাটগুলোতে তুলনামূলক পশুর সংখ্যা বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম নিম্নমুখি এবং লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা।
কিন্তু এ দাম নিয়ে ক্রেতাদের রয়েছে ভিন্ন মত। তারা বলছেন, এবার কোরবানির পশুর দাম কমেনি বরং বেড়েছে।
খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় সাতটি স্থায়ী হাট ছাড়াও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আরো ২২টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। এ সব পশুরহাটে দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর আমদানি এবারও চোখে পড়ার মতো। তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশি গরুর বিক্রেতা ও খামার মালিকদের ভারত থেকে আমদানি করা গরুর সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন। অনেকেই কাঙ্ক্ষিত দামে গরু বিক্রি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
খামারিরা বলছেন, ঘাস, খড়, চালের খুদ, ডাল ও গমের ভুঁষি, সরিষার খইল, চিটা গুড় ইত্যাদি পশুখাদ্য, এমনকি কাঁঠালের পাতার দাম বেড়েছে। এ কারণে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু-ছাগল পালন ব্যয়ও বেড়েছে। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে বেশি লাভের আশায় যারা বড় অংকের পুঁজি খাটিয়ে দেশি গরু পালন করেছেন, কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় লাভের পরিবর্তে তাদেরও লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ভারত থেকে গরু আমদানি করার কারণে এবার কোরবানি পশুর দাম নিম্নমুখি হওযায় বলে দাবি, বাসা-বাড়িতে গরু লালন পালনকারী সাধারণ কৃষক ও খামারিদের।
এদিকে, কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এবার কোরবানির পশুর দাম কমেনি, বরং বেড়েছে।
গরুর মতো ছাগলের দাম নিয়েও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে পরস্পরবিরোধী মত। কিন্তু ঈদের দিনটি দোরগড়ায়, আর তা ছাড়া কোরবানি তো দিতেই হবে। তাই অযথা দেরি না করে, অনেকেই দরদাম করে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বাজেট অনুযায়ী পছন্দের পশুটি কিনে ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে, জেলার কোরবানির পশুর হাট এবং ঈদের আগে ও পরের দিনগুলোতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিরাপদ রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রশীদুল হাসান।