অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত শক্তিকে জোরদার করার লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, জনসভা ও গণসমাবেশ করার কর্মসূচি নিয়েছে যুক্তফ্রন্ট।

আজ বুধবার দুপুরে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে তাঁর বারিধারার বাসভবনে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বক্তব্য দেন জেএসডির সভাপতি আ.স.ম. আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের কার্যক্রম নিয়ে বিশদ আলোচনা শেষে ঈদুল আজহার পর থেকে সারা সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে সাংগঠনিক সভা, জনসভা ও গণ সমাবেশ করার কর্মসূচি নেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, যুক্তফ্রন্টের গণসংযোগ ও জনসভার মূল উদ্দেশ্য হলো অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত শক্তিকে জোরদার করা। আর সেই লক্ষ্যে বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলোতে বলা হয়, যুক্তফ্রন্টের উদ্দেশ্য হলো, দেশের সমস্ত জনগণকে একতাবদ্ধ করা, অত্যাচার, স্বৈরাচার এবং গণতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জাতীয় চেতনা সৃষ্টি, জনগণকে ভবিষ্যতে ইতিবাচক রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করা এবং এই মতবাদ ও মর্মে যারাই বিশ্বাসী এই ধরনের সমস্ত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের যুক্তফ্রন্টে স্বাগত জানানো।

বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের নেতারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের নির্যাতন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ফ্রন্ট নেতারা বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে। তাই নিগৃহীত ছাত্ররা যাতে ঈদের আনন্দ বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপভোগ করতে পারে এই সুযোগ তাদের দিতে হবে। রাজনীতির বাইরেও একজন মা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের আগেই অবিলম্বে ছাত্রদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।

বৈঠকের শুরুতেই যুক্তফ্রন্ট নেতারা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং সবার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।