সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতা ও চেক প্রত্যাখ্যানেরও মামলা হয়েছিল।
সোমবার মানিকগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে চাঁদাবাজির এ মামলাটি করেন জামশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাফর আহমেদ। বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউপি সদস্য জাফর আহমেদ মামলায় উল্লেখ করেন, সিংগাইর উপজেলার বায়রা কালীনগর গ্রামের সোহরাব হোসেন (৪৮) ও তাঁর চার সহযোগী গত ১০ আগস্ট তাঁর (জাফর আহমেদ) বুকে চাকু ঠেকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাঁকে হত্যা করে লাশ কালীগঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর তাঁর শার্টের বুক পকেট থেকে ব্যবসার ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। সেই সঙ্গে তাঁকে মারধর করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাকি টাকা দেওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দেন।
জামশা ইউপির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিঠু বলেন, সোহরাব ও তাঁর চার সহযোগী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে থাকে। এতে সাংবাদিকদের মহান পেশাটি এখন কলুষিত হয়ে পড়ছে। ইউপি সদস্য জাফরের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাঁকে মারধর করেন সোহরাব গংরা।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, নাশকতা মামলায় সোহরাব বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এছাড়া অর্গানিক হেলথ কেয়ার নামের একটি ওষুধ কোম্পানিতে ফিল্ড পর্যায়ে চাকরি করা অবস্থায় কোম্পানিকে এক লাখ টাকার একটি চেক দেন সোহরাব। ওই চেক প্রত্যাখ্যান হলে কোম্পানির পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে মামলা করা হয়। ওই মামলায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। সেই মামলায়ও সোহরাব জামিনে রয়েছেন। চাঁদাবাজির মামলার কাগজ এখনো থানায় আসেনি। চাঁদাবাজির মামলাটি তদন্ত করে যদি সোহরাবের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।