একদিন পর আবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
দ্বিতীয় দিনের মতো আবারও ম্যারাথন বৈঠকে বসেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এর আগে গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রথম দিনের বৈঠক করে দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরাম। ওই দিন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক মুলতবি করা হয়। একদিন বিরতি দিয়ে আজ সোমবার আবারও দলটির স্থায়ী কমিটি বৈঠকে বসল।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ রাত পৌনে ৮টায় এ বৈঠক শুরু হয়। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। তবে শনিবারের মতো আজও এ বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।
বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কিছু দিন আগে হয়ে যাওয়া সাংগঠনিক ইউনিটের সম্পাদকদের প্রস্তাব, খালেদা জিয়ার মুক্তি, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানা গেছে।
স্থায়ী কমিটির বিশেষ এই বৈঠক থেকে আলোচনা করেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে করণীয় ঠিক করা এবং নিজেদের সামনের দিনের রাজনীতির কর্মপন্থা ঠিক করবে দলটি।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে সারা দেশ থেকে পাওয়া দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত ও পরামর্শগুলো পর্যালোচনা করবে স্থায়ী কমিটি। এসব মতামত ও পরামর্শগুলো বিবেচনায় নিয়ে আগামী দিনের রাজনৈতিক ও আন্দোলনের কর্মপন্থা ঠিক করবে দলটি।
এ ছাড়া স্থায়ী কমিটির এ বৈঠকে আলোচনা হওয়া ও গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দলগত ও জোটগতভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষে সামনে ২০ দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে। জোট ও দলের ভেতরে আলোচনা করে সামনের দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের মতো দাবি আদায়ে রাজপথে কর্মসূচি ঠিক করবে বিএনপি।
বিএনপির এ বৈঠকে উপস্থিত আছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান।