শিমুলিয়ায় ফেরি বন্ধ, বিপাকে হাজারো যাত্রী
দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথ। গেল কয়েক দিন ধরেই নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে। রাত থেকে ফেরি বন্ধের কারণে বিপাকে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
গতকাল রোববার রাত ১২টার পর থেকেই ফেরি বন্ধ আছে এ নৌপথে। বিকল্প চ্যানেল ও সরাসরি মূল চ্যানেলে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে কিছু ফেরি হালকা, ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি নিয়ে ছেড়ে গেলেও আবার শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে এসেছে।
এ ছাড়া ফেরি বন্ধের কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে অনেক গাড়ি ঘাটে এসে ঢাকার অভিমুখে ফেরত গিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মেরিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলি জানান, চ্যানেলে তিন ফুট পানি রয়েছে, যা ফেরি চালানোর জন্য অনুপযোগী। ফেরি চালাতে প্রয়োজন সাড়ে সাত ফুট গভীরতা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারি জানান, সোমবার রাত ১২টা থেকে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। গেল কয়েক দিন ধরে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ড্রেজিং করে নৌপথের ফেরি চালানোর জন্য উপযোগী করতে হবে। এ ছাড়া জোয়ারের পানি আসার অপেক্ষায় থাকতে হবে।
মাওয়া ট্রাফিক ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল ৮০-৯০টি পণ্যবাহী ট্রাক দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের দিকে চলে গেছে। ঘাট এলাকায় আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ করা হচ্ছে। ফেরি চলাচল সচল না হলে গাড়ির লাইন দীর্ঘ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান জানান, লৌহজং ও বাইপাস চ্যানেলে সাতটি ড্রেজার পলি অপসারণে কাজ করছে। তবে আজকের মধ্যে সরাসরি মূল চ্যানেল দিয়ে কে-টাইপ ফেরি চালানো যাবে। কিন্তু লৌহজং চ্যানেলে থেকে তিন কিলোমিটার ডাউনে থাকা বিকল্প চ্যানেলটি চলাচলের উপযোগী করতে দুদিন সময় লাগবে।
চ্যানেলে পলি অপসারণ করতে গিয়ে পাড়ের বালু ভেঙে পড়ায় নাব্যতা সংকট প্রকপ আকার ধারণ করছে। তবে শিগগির সরাসরি মূল চ্যানেল দিয়ে কে-টাইপ ফেরি চলবে বলে জানান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান।