‘রাজধানীর বাস রুটগুলোকে রেশনালাইজ করা হবে’
রাজধানীর পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরাতে যত দ্রুত সম্ভব বাস রুটগুলোকে ‘রেশনালাইজ’ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
মেয়র ছয় কোম্পানির অধীনে বাস চালানোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজ করলে সেটি হতে পারে নিরাপদ সড়কের জন্য একটি কার্যকরী উদ্যোগ।’
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের ব্যালকনি হলরুমে মাসব্যাপী ‘ক্লিন অ্যান্ড সেইফ মোবিলিটি’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক রফিকুর রহমান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল।
‘আমাদের পথ, আমাদের হাতেই নিরাপদ’- শীর্ষক স্লোগানে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়র জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ৯২টি সড়ক ইন্টারসেকশনে জেব্রা ক্রসিং ও লেন সেপারেটর ডট সলিড রোড মার্কিং স্থাপন করা হবে। পথচারী পারাপার ২৯৪টি, সামনে বামে মোড় ৫০টি, ডানে মোড়/ইউটার্ন ৩২টি, বামে/ডানে/ইউটার্ন নিষেধ ৩০টি, বামে থাকুন/ উভয় দিকে চলুন ৩০টি, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন সাইনবোর্ড ৬৪টি, দিকনির্দেশনামূলক চিহ্ন ১০০টি অর্থাৎ মোট ৬০০টি ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা হবে। তা ছাড়া ১৭টি যাত্রী ছাউনি বা বাস স্টপ করা হবে।
মেয়র জানান, জাইকার অর্থায়নে মহানগরীর চারটি ইন্টারসেকশনে অর্থাৎ গুলিস্তান (ফুলবাড়িয়া), পল্টন, মহাখালী ও গুলশান ১-এ ভেহিকুলার ইমেজ ডিটেক্টর ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চলন্ত গাড়ির সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা এবং পৃথক লেন অনুসরণ করে গাড়ি চালানোর পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘শুধু সচেতনতামূলক কার্যক্রম করলেই নিরাপদ সড়ক পাওয়া যাবে না, এর জন্য আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন।’