ভিসা হয়নি, ৬৮৮ জন হজে যেতে পারছেন না
ভিসা না হওয়ায় এবার হজে যেতে পারছেন না ৬৮৮ জন। এর ব্যাখ্যা চেয়ে এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়েছে হজ অফিস। তবে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ায় তাঁদের ভিসা হয়নি।
রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। এক নারী হজযাত্রীর অভিযোগ, একসঙ্গে তাঁরা পাঁচজন যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের ফ্লাইট পড়েছে আলাদা। এর মধ্যে দুজন আগে যাবেন। আর এই কথা তাঁকে আজ সকালে ফোনে জানানো হয়েছে।
আরেক হজযাত্রী অভিযোগ করেন, শেষ সময়ে এসে এজেন্সি বাড়তি টাকা দাবি করছে। তিনি বলেন, ‘সে আমার ভিসা করেছে। এখন বলে বাড়তি খরচ দিতে হবে। এবার হজের খরচ বেশি হচ্ছে। ৪০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ দিতে হবে।’ এদিকে, আরেকজন হজযাত্রীর অভিযোগ, শেষ সময়ে এসে বিমান ভাড়া বেড়েছে জানিয়ে এজেন্সি বাড়তি টাকা চেয়েছে।
হজ আবেদন বছরখানেক আগে করা হলেও শেষ সময়ে এসে এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের টিকেট ভিসা করে, এমন প্রশ্ন ছিল ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বি এইচ হারুন বলেন, ‘যেটা আমাদের সবারই প্রশ্ন। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেল বছরের শুরু থেকে। শেষ সময়ে এসে দিতে আছে। কিছুদিন আগে পাসপোর্ট হাতে দেওয়া হয়েছে। এটার কারণ কী? এটাও একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থা হচ্ছে।’
এ ছাড়া জানতে চাওয়া হয় ৬৮৮ জনের ভিসা না হওয়া প্রসঙ্গে। হারুন বলেন, ‘এই যে ৭০০ যেতে পারল না, এটা কি মন্ত্রণালয়ের দোষে নাকি সৌদি দূতাবাসের দোষে। কিছু এজেন্সির কারণে। যে ব্যক্তি পাসপোর্ট দিছে, তাঁরও দোষ আছে। পাসপোর্টের ডেট শেষ হয়ে গেছে, সে দেখবে না।’
হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘৬৮৮ জন স্বেচ্ছায় ড্রপ করেছেন। প্রতিবছরই কিছু যাত্রী স্বেচ্ছায় ড্রপ করেন। আমরা এটা বলি ন্যাচারাল ড্রপ। সরকারি ব্যবস্থাপনায়ও ৩৯ জন সেম স্ট্যাটাসের (একই অবস্থা) আছে। স্বেচ্ছায় হজ গমন না করার এই সুযোগটি যাত্রীর নিজস্ব।’
যাত্রীর অভাবে বিমানের ফ্লাইট বাতিল হলেও হাব মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সভাপতি উভয়েই জানালেন, কোনো যাত্রীরই এ জন্য সৌদি আরব যাওয়ায় সমস্যা হবে না।