বুয়েটের ১৯ শিক্ষককে পিআরএল ও পেনশন সুবিধার রায় বহাল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক তিন উপাচার্যসহ অবসরপ্রাপ্ত ১৯ শিক্ষককে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ও পেনশন সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বুয়েট কর্তৃপক্ষের লিভ টু আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে, অবসরপ্রাপ্ত ১৯ শিক্ষকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তবারক হোসেইন ও ব্যারিস্টার ঊর্মি রহমান।
বিশ্ববিদ্যায় মঞ্জুরি কমিশন ও বুয়েট উপাচার্যের লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার ঊর্মি রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবসরের পর পিআরএল ও পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত বুয়েটের ১৯ শিক্ষক গত বছর পৃথক তিনটি রিট করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন।’
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শিক্ষকদের প্রাপ্য পিআরএল ও পেনশন সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় রায়ে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে বুয়েট ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। আজ সেসব আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তাঁদের প্রাপ্য পিআরএল ও পেনশন সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকছে।
রিটকারী সাবেক তিন উপাচার্যের মধ্যে ড. মো. মনোয়ারুল ইসলাম ও অধ্যাপক সাহেদা রহমানসহ ড. মো. মোহর আলী ও ড. মোস্তফা কামাল চৌধুরী পাবেন কেবল পেনশন সুবিধা।
আর উপাচার্য ড. মো. মাজহারুল হকসহ শিক্ষক ড. মো. মীরজাহান মিয়া, ড. আমিনুল হক, ড. মো. ইমতিয়াজ হোসেন, ড. সারওয়ার জাহান, ড. শহিদুল ইসলাম খান, ড. মো. ওবায়েদ উল্লাহ, ড. মো. জয়নুল আবেদিন, ড. মো. আব্দুর রইফ, ড. মো. রিফায়েত উল্লাহ, ড. নিলুফার ফরহাত হোসাইন ও ড. নজরুল ইসলাম জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী দুই বছরের বেতন পাবেন।