লবণ নয়, ইয়াবার গাড়ি!
লবণ বোঝাই কাভার্ড ভ্যান ঢুকছিল ঢাকায়। সেই লবণের ভেতরে করে আনা হয় ইয়াবা। তল্লাশি করে ওই কাভার্ড ভ্যানে মেলে এক লাখ ৯৬ হাজার ইয়াবা বড়ি। ওই কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে থাকা ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হয় আরো ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, র্যাব সদস্যরা সবশেষ চালানটি আটক করলেও এরই মধ্যে একই কায়দায় ঢাকায় ঢুকেছে আরো আটটি ইয়াবার চালান।
সবশেষ চালানটিতে ঢাকায় আসছিল দুই লাখ ৬ হাজার ইয়াবা। লবণবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি ট্রাক থেকে এই বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব। আটক করা হয়েছে দুই চালক ও দুই সহকারীকে।
মুফতি মাহমুদ জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকা থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি ট্রাকের দুই চালক ও চালকের দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কাভার্ডভ্যান চালক মানিক মিয়া (২৭), হেলপার মো. আরিফ (২২), ট্রাকচালক মো. মাসুম মিয়া (৪০) ও হেলপার মো. আব্দুল খালেক (২৮)।
মুফতি মাহমুদ জানান, আটককৃতরা কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকচালকের ছদ্মবেশে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করতেন। টেকনাফ থেকে তাঁরা বিভিন্ন কৌশলে এবং লবণের গাড়িতে করে ঢাকায় ইয়াবার চালান আনতেন। এর আগেও আরো আটটি চালান ঢাকায় এনেছেন।
মুফতি মাহমুদ আরো জানান, টেকনাফ থেকে ঢাকায় ইয়াবার একটি চালান আসছে- এমন খবরে র্যাব সদস্যরা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানটি শনাক্ত করে এবং আটক করে। পরে কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশে বিশেষ কায়দায় বানানো বাক্সে লুকানো অবস্থায় এক লাখ ৯৬ হাজার ইয়াবা বড়ি এবং ট্রাকের অতিরিক্ত চাকার মধ্যে থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, গত ২৮ জুলাই তারা টেকনাফ থেকে একটি চালান নিয়ে আসে। পরে তারা যাত্রার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ৩ আগস্ট তারা টেকনাফ থেকে ঢাকায় রওনা হয়। পথে চকোরিয়ার একটি ওয়ার্কশপে যাত্রা বিরতি দিয়ে সেখানে গাড়ি রাখে এবং সেখানে মাসুম নামের একজনের মাধ্যমে কাভার্ডভ্যানের ভেতরে এক লাখ লাখ ৯৬ হাজার ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে নেয় আর ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি ট্রাকের অতিরিক্ত চাকার ভেতরে ঢুকিয়ে ঢাকায় রওনা হয়।
মুফতি মাহমুদ খান আরো জানান, তারা মুলত কোরবানির ঈদকে টার্গেট করেছিলেন। এ কারণে কক্সবাজার থেকে লবণ বোঝাই দুটি গাড়িতে করে তাঁরা ইয়াবার বড় একটি চালান রাজধানীতে নিয়ে আসেন। ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে ঢাকায় আনা হতো। এরপর সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা সরবরাহ করতেন। এই চক্রে ১৫-২০ সদস্য রয়েছে। যারা গাড়ি চালানোর পাশাপাশি মাদক ব্যবসা করে।