কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে বোমার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্থগিত না করে আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী ৯ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

গতকাল সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আটজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয়জন নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মারা যান, পাঁচজনের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। খালেদা জিয়াসহ অন্য ৬৯ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন।

এ মামলায় গত ১ জুলাই খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ৮ আগস্ট বহাল রাখেন কুমিল্লার আদালত। এরপর হাইকোর্টে এ মামলায় জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

ওই আবেদনের পর কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে করা আবেদন ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশ অনুসারে কুমিল্লার আদালত তা নিষ্পত্তি করে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।

এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আবেদন করলে গতকাল সোমবার আদালত তাঁর ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।