মার্কিন দূতাবাস ও জাতিসংঘের বিবৃতি অযাচিত : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং জাতিসংঘের ঢাকা অফিসের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এ বিবৃতি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিবৃতি অযাচিত, অনাকাঙ্ক্ষিত।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, মার্কিন দূতাবাস ও জাতিসংঘের ঢাকা অফিস থেকে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও বলপ্রয়োগের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের এ স্টেটমেন্ট প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনকে সরকার নেতিবাচকভাবে নেয়নি। ফলে তাদের ওপর নির্যাতনের প্রশ্নই আসেনি। আমরা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপারে বেশ সচেতন ছিলাম।’
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্টেটমেন্ট প্রত্যাহারের জন্য তাদের কাছে চিঠি দেবো।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। টানা আট দিন তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। এর মধ্যে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় একদল যুবক।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে ৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস একটি বিবৃতিতে বলে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনে সহিংস হামলা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। এ ছাড়া একই দিন জাতিসংঘ তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বিবৃতিতে বলেন, ‘সহিংসতার খবরে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সড়কের নিরাপত্তা নিয়ে তারা যে দাবি তুলেছে, তা যৌক্তিক ও ঢাকার মতো একটি মেগা সিটির জন্য সমাধান বের করা প্রয়োজন। একটি কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থাই পারে শিশু ও নারীসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।’