সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএফইউজে ও ডিইউজের প্রতিবাদ
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর নির্মম নির্যাতন ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হয়। মিছিলটি কদম ফোয়ারা মোড় ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
বিএফইউজে ও ডিইউজের একাংশ আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সহসভাপতি শাহিন হাসনাত ও সহসাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত তিনদিনে অন্তত ১৫ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন এপির এম এ আহাদ, দৈনিক বনিক বার্তার পলাশ শিকদার, নিউজ পোর্টাল বিডি মর্নিংয়ের আবু সুফিয়ান জুয়েল, দৈনিক জনকণ্ঠের জাওয়াদ ও দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র ফটোগ্রাফার সাজিদ হোসেন ও প্রতিবেদক আহম্মেদ দীপ্ত। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার রাহাত করীম, এনামুল হাসান, মারজুক হাসান, হাসান জুবায়ের ও এন কায়ের হাসিনের ওপর হামলা করা হয়েছে।
সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে কয়েক দিন ধরে ছাত্ররা আন্দোলন করছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। সরকার একদিকে আন্দোলনকে যৌক্তিক বলছে, অন্যদিকে হামলা করছে। আমরা লক্ষ করছি যখন সাংবাদিকরা এই আন্দোলনের ছবি এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে যাচ্ছে তখন তাদের মারা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আজকে এপি, প্রথম আলোর সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই।
মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেন, বন্ধুরা আপনারা জানেন, কিছুদিন আগেই কুষ্টিয়ার আদালতে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করেছি। সেই রেশ কাটতে না কাইতেই গতকাল যে হামলা হয়, তাতে গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। যেভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারা বর্বরভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে এটা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
অবিলম্বে এ হামলার বিচার না করলে সাংবাদিক সমাজ বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন এম আবদুল্লাহ। তিনি এ সময় প্রত্যেক সাংবাদিকের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানান।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের গুন্ডারা নেমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তারা সাংবাদিকদের হামলা করেছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এ সময় তিনি দলমত নির্বিশেষে সব সাংবাদিককে মাঠে নামার আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব থেকে মিছিল বের করেন সাংবাদিকরা। মিছিল শেষে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ৮ আগস্টের মধ্যে এ হামলার বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।