এবার আইসিটি আইনের মামলায় নাউমি রিমান্ডে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের অডিও ফাঁসের ঘটনায় কুমিল্লায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাউমিকে এবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এই আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসামি নাউমিকে আইসিটি আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম জোনের পরিদর্শক আনিসুর রহমান হাজির করে সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড দেন।
এর আগে আজই শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় নাউমিকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। নাউমির বিরুদ্ধে আজই শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে নাউমি নামে কারো কথোপকথনের অডিও ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরের দিন শনিবার বিকেলে ফোনালাপটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাত পৌনে ১১টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এরপর গতকাল রোববার কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার দেউরা গ্রাম থেকে মিলহানুর রাহমান নাউমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। নাউমি লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার অ্যাট ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
নাউমির বাবা সিদ্দিকুর রহমান সবুজ দাবি করেছেন তাঁর ছেলে নির্দোষ। তিনি জানান, নাউমি দেশে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি ছোটবেলায় পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে যান এবং লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করে ছয় মাস আগে দেশে আসেন। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তাঁর চাচাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত দেওয়ার জন্য ফোন করেছিল নাউমি। এর বাইরে যে কথাগুলো হয়েছে ফোনালাপে, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান সিদ্দিকুর রহমান।
নাউমির বাবা আরো বলেন, ‘তারপরও যদি সে অপরাধ করে থাকে, তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার করা হোক। তবে তাঁর প্রতি যেন অবিচার করা না হয়।’