দুর্ঘটনার সাজা ৫ বছর, হত্যা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড
বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড রেখে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে যদি হত্যার উদ্দেশ্যে কেউ গাড়ি চালায় এবং সেটা প্রমাণিত হয়, তাহলে তা ফৌজদারি আইনের দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুসারে বিচার হবে। সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনের সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে দুর্ঘটনার প্রকৃতি কী ছিল।
আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এই আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম গণমাধ্যমকে ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। সরকার এই আইনটি দ্রুতগতিতে পাসের ব্যবস্থা নেয়।
সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া তৈরি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। গত বছর মার্চ মাসে এই আইনের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। এর পর তা যাচাই-বাছাই করে মতামত দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন যাচাই-বাছাই শেষে গত বৃহস্পতিবার এ আইনের খসড়ায় মতামত দিয়ে তা ফেরত পাঠানো হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। ওই দিনই আইনমন্ত্রী ও তুমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের কথা জানিয়েছিলেন।