জিগাতলায় এপির ফটো সাংবাদিকের ওপর হামলা
শিক্ষার্থীদের চলমান নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে হামলার শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) ফটো সাংবাদিক এ এম আহাদ। আজ রোববার বিকেলে জিগাতলা এলাকায় তাঁর ওপর এ হামলা করা হয়।
গণমাধ্যম ইউএনবির দেওয়া সূত্রমতে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহাদকে নির্দয়ভাবে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোন ও ক্যামেরাটিও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এর পরে তাঁকে পার্শ্ববর্তী ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহাদ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। এতে তাঁর মাথায় সেলাই পড়তে পারে। তবে তাঁর ওপর কারা হামলা করেছিল, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাজধানীর জিগাতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় একদল যুবক।
হামলার প্রতিবাদে আজ রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছে আরো বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী।
এদিকে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তার অবস্থান নেওয়ার থেকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোয় বাস চলাচল একেবারেই কমে যায়। এমনকি আন্তজেলা বাস চলাচলও বন্ধ করে দেন মালিক ও শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নয়টি দাবি করেছে। তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার উচিত বলে জানান তিনি।
এরই মধ্যে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা বলেছেন, নিরাপদ বোধ না করা পর্যন্ত তাঁরা রাস্তায় বাস নামাবেন না। ফলে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট চলছে।