রাজধানীর জিগাতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা শিক্ষার্থীদের নয় দফার দাবির প্রতি সমর্থন জানান।

আজ শনিবার বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, বুয়েটের শহীদ মিনারে পাশের সড়কে মোমবাতি জ্বালিয়ে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বুয়েটের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে এই অবরোধে অংশ নেন। রাস্তা অবরোধের সময় রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলতে দেওয়া হয়নি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুয়েটের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আজ জিগাতলায় যে হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদে তাদের এই অবস্থান। তারা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে আজ সকাল থেকেই সায়েন্স ল্যাব, ঢাকা কলেজ এলাকা এবং জিগাতলা ও আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। তারা রাস্তার শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করছিল। দুপুরে হঠাৎ তাদের ওপর হামলা করে একদল বহিরাগত। প্রথমে ধস্তাধস্তি ও শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।

এ সময় বেশ কয়েকজন ছাত্র গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হঠাৎ করেই হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলেও দাবি তাদের।

ধানমণ্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে কারা হামলা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আজ রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট, পান্থপথ, আসাদগেট, সায়েন্স ল্যাব, মিরপুর, মতিঝিল, শনির আখড়া প্রভৃতি স্থানে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। তারা যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স তল্লাশি করছে। কোনো অনিয়ম পেলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশের কাছে মামলা করার জন্য।