খালি সড়কে বেপরোয়া ভ্যান, পিষল কলেজছাত্রীকে
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যেই গাজীপুরে খালি রাস্তায় বেপরোয়া ক্যাভার্ডভ্যান চালক পিষে দিল এক কলেজছাত্রীকে। আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বড়বাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর কাভার্ডভ্যানের চালক আজহার উদ্দিনকে আটক করে পিটুনি দেয় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। তারা ভ্যানের নিচে ফেলে রাখে। ক্ষুব্ধ লোকজন কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে। আগুন নেভাতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হামলায় ফায়ার সার্ভিসের চারজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন লিডার মো. সামসুল হক, ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও জাকারিয়া।
মিম টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। সে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর উপজেলার কদুরিয়া এলাকার মো. ফারুক হোসেনের মেয়ে।
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বড়বাড়ী এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় মিমকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন মিম। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর ঘটনার জেরে স্থানীয়রা ভ্যানটিকে আটক করে অগ্নিসংযোগ করে। তারা ভ্যানের চালককে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং ভ্যানের নিচে ফেলে রাখে। তবে বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের মুখে চালক জীবিত না মৃত তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ভ্যানের আগুনও নেভানো সম্ভব হয়নি।
তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রিয়তোষ সূত্রধর জনি জানান, চালকের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের লিডার সামসুল হক জানান, পুলিশ প্রটেকশন নিয়ে কাভার্ডভ্যানের আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির চালকসহ চার ফায়ার সার্ভিসকর্মী আহত হয়েছেন। পরে গাড়ি নিয়ে পাশের একটি পোশাক কারখানায় গিয়ে আশ্রয় নিয়ে তাঁরা রক্ষা পান।