ঢাকা মহানগরীতে সাবওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ
ঢাকা মহানগরীতে গণপরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে উন্নত বিশ্বের মতো সাবওয়ে (ভূগর্ভস্থ পথ) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই এবং প্রাথমিক নকশা প্রণয়নে নিয়োগ করা হয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী স্পেনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টিপসা ঢাকা মহানগরীতে প্রস্তাবিত সাবওয়ের চারটি রুটের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। প্রথম রুটটি টঙ্গী-উত্তরা-এয়ারপোর্ট-খিলক্ষেত-কাকলী-মহাখালী-মগবাজার-কাকরাইল-পল্টন-শাপলা চত্বর-যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড পর্যন্ত; দ্বিতীয় রুটটি আমিনবাজার থেকে শুরু হয়ে গাবতলী-শ্যামলী-আসাদগেট-নিউমার্কেট-টিএসসি-বঙ্গবাজার-ইত্তেফাক মোড় হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত; তৃতীয় রুটটি গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মিরপুর ১-মিরপুর ১০-কাকলী-গুলশান ২-নতুন বাজার-রামপুরা টিভি ভবন-খিলগাঁও-শাপলা চত্বর হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত এবং চতুর্থ রুটটি রামপুরা টিভি ভবন-নিকেতন-তেজগাঁও-রাসেল স্কয়ার-ধানমণ্ডি ২৭-জিগাতলা-আজিমপুর-লালবাগ হয়ে সদরঘাট পর্যন্ত।
প্রথম পর্যায়ে পিপিপি ভিত্তিতে ৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রথম ও দ্বিতীয় রুট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ রুট দুটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন (৫৬২ কোটি) মার্কিন ডলার। সাবওয়ে নির্মিত হলে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ মিটার নিচ দিয়ে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। এতে মহানগরীর প্রায় ৪০ লাখ যাত্রী পরিবহন সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
চুক্তিপত্রে সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমদ এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টিপসার পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অ্যান্টোনিও রদ্রিগেজ স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী সাবওয়ের চারটি রুটের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ব্যয় হবে প্রায় ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীতে সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা প্রকল্পটি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতাধীন একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প।
সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং সেতু বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।