‘মোয়াজ্জেম ভাই সাংবাদিকতার জগতে বিরাট ব্যক্তিত্ব’
‘সত্যিকার অর্থে মোয়াজ্জেম ভাই সাংবাদিকতার জগতে বিরাট একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। উনার সততা, ওনার পেশাগত যে দায়িত্ববোধ অতুলনীয়।’
ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে এভাবেই বলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।
আজ বৃহস্পতিবার তার মরদেহ আনা হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। দুপুর ১২টায় তাঁর জানাজায় অংশ নেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ। জানাজা শেষে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানাজায় অংশ নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বলেন, ‘তিনি ছিলেন আধুনিক অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকতার পথিকৃত। তাঁর পেশাদারত্ব ও সততার কারণে নবীন সাংবাদিকদের কাছে তিনি অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।’ জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘পেশাদারত্ব ও নৈতিকতা নিয়ে উনি সব আলোচনায় থাকতেন এবং পরামর্শ দিতেন। আমরা উপকৃত হতাম। ওনার চলে যাওয়ার ফলে আমাদের ক্ষতি হলো।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা আশা করি যে, এই মোয়াজ্জেমের যে স্বপ্ন এই যে ফিন্যান্সিয়াল। জার্নালিজমকে আরো সমৃদ্ধ করা এটা আমাদের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে নেবে।’
একুশে টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতায় যদি একজন ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিন্তা করা যায়, সেই প্রতিষ্ঠান হচ্ছেন মোয়াজ্জেম সাহেব।’
দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এর পরবর্তী ধাপে কে আসবেন, এ রকম বোধয় একটা শূন্যতা শুরু হয়েছে। আসলে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। আর এই ক্ষতিটা আমরা হয়তো তাড়াতাড়ি পুষিয়ে উঠতে পারব বলে আমার মনে হয় না।’
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইংরেজি দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন। সম্পাদকের দায়িত্বের পাশাপাশি পত্রিকাটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আইপিএলের প্রকাশক ছিলেন।
প্রতিথযশা এ সাংবাদিক ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সাংবাদিক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় বাংলাদেশ অবজারভারে। এ ছাড়া তিনি নিউ নেশন, ইউএনবি, ঢাকা কুরিয়ার ও ডেইলি স্টারে কাজ করেছেন।
১৯৯৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশর (পিআইবি) পরিচালনা পরিষদ সদস্য ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। ছিলেন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। বাদ জোহর আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী লাশ দাফন করা হয়।