‘তোমরা ঘরে ফিরে যাও’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা ঘরে ফিরে যাও। সুন্দরভাবে লেখাপড়া করার জন্য তোমরা সবাই শান্তিতে থাক।’
প্রধানমন্ত্রী কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এর প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়িতে করে দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসা হয়, তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। শেখ হাসিনা নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম ও আবদুল করিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রত্যেক পরিবারের হাতে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র অনুদান হিসেবে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সান্ত্বনা আর বিচারের আশ্বাস পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে পরিবার দুটি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দিয়া খানম মিমের বাবা বাসচালক জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা তাঁর কাছে আসছি, তিনি দাবি দাওয়া মেনে নিয়েছেন। তিনি ভালো আশ্বাস দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। তিনিও দেশের সৌন্দর্য চান। ছাত্রছাত্রীদের নয়টা দাবি ছিল, এগুলোও তিনি মেনে নিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছ থেকে ভালো সান্ত্বনা পেয়েছি। তিনি আমাদের প্রতি ভালো খেয়ালও রাখছেন।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বাবারা, তোমাদের প্রতিও তিনি খুব অনুরোধ জানিয়েছেন, তোমরা ঘরে ফিরে যাও। সুন্দরভাবে লেখাপড়া করার জন্য তোমরা সবাই শান্তিতে থাক।’
জাহাঙ্গীর আলম অভিভাবকদের প্রতিও আহ্বান জানান, সন্তানদের ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে হারাইছি।’ তিনি বলেন, ‘যার যার সন্তান আমরা অভিভাবকরা বুঝাইয়া ঘরে নিয়া যাই। আমরা শক্ত বিচার পামু আশা করি।’
জাহাঙ্গীর আলম জানান, কুর্মিটোলা সড়কের দুর্ঘটনার স্থানে নিহতদের নামে একটি ফুটওভার ব্রিজ হবে। তা ছাড়া পরিবার দুটির প্রত্যাশা এমন দুর্ঘটনার শিকার যেন আর কেউ না হয়।
গত রোববার কুর্মিটোলায় সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে রাস্তায় নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।