শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকার আহ্বান মান্নার
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, দেশকে বদলানোর জন্য কিশোররা যে আন্দোলনে নেমেছে, এখন আমাদের সবার দায়িত্ব তাদের সঙ্গে রাজপথে নামা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা ও নিপীড়ন এবং বর্তমান রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান মান্না।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা যে আন্দোলন শুরু করেছে, তাতে দুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও জনগণ কিন্তু খুশি। তাদের অনেককেই বলতে শুনেছি, দেশে যদি কোনো কাজ হয় তাহলে এরাই করতে পারবে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশকে কখনো লাইসেন্স দেখতে দেখিনি। সেই দায়িত্ব এখন এই কোমলমতি ছাত্ররা নিয়েছে, এটা কি ভালো না খারাপ? আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কি ভালো? ভালো না, তবে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ ঠিকমতো না করে, তাহলে তো তাদের কাজ শিখিয়ে দেওয়ার জন্য ছাত্ররাই এগিয়ে আসবেই।’
সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বাড়ছেই। কিছুদিন আগে সড়কে দুই বাসের রেষারেষিতে রাজীবের হাত কাটা পড়ল। শেষ পর্যন্ত ছেলেটা মারাই গেল। এরপর প্রেসক্লাবের সামনে এক নারী বাস দুর্ঘটনায় মারা গেল। মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনা ঘটলেও সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আর এসব কারণেই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদের সবার উচিত ওদের সঙ্গে এ আন্দোলনে যোগ দেওয়া।’
মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, ’৬৯-এ আইয়ুব খান ছাত্রদের আন্দোলন ঠেকাতে যে পন্থা অবলম্বন করেছিলেন, এই সরকারও একই পদ্ধতি অবলম্বন করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ দিয়ে ছাত্রদের পেটানো হচ্ছে।
আয়োজক ফোরামের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।