বাতিল প্রার্থীরাই হলেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক
বাতিল প্রার্থীদের তালিকা থেকে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। সংগঠনটির ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নির্ধারিত বয়সসীমা ২৮ বছরের নিচে না থাকায় তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। অথচ বাতিল হওয়া দুই নেতাকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, পদপ্রার্থীদের সবার নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি নির্বাচিত করেছেন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন হয়। সম্মেলনের কয়েকদিন আগে তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ওই তিনজন হলেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরিফুর রহমান লিমন, সাকিব হাসান সুইম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশদ সুজন। সম্মেলনের আগে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন ৩২৩ জন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সম্মেলনে গিয়ে প্রার্থীদের বয়স নির্ধারণ করে দেন। সেদিন তিনি কমিটি ঘোষণা করেননি।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্মেলনের পরের দিন নির্বাচন কমিশন জানায়, ১৯৯০ সালের ১১ মে-এর পর যাঁদের জন্ম হয়েছে তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন। অন্যদের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য করা হবে। এরপর সভাপতি পদে ৪০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। সভাপতি পদে ৬৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬৯ জনকে বৈধ তালিকায় রাখা হয়। বাতিল তালিকায় নাম ছিল ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর। রাব্বানীর নাম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর তালিকায় ছিল। তাঁর বয়স হয়েছিল ২৮ বছর ৮ মাস। আর শোভনের বয়স হয়েছিল ২৮ বছর ৭ মাস ৬ দিন।
বয়সের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশদ সুজন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নেত্রী যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন সেভাবে ছাত্রলীগ পরিচালিত হবে। বর্তমান কমিটির ব্যাপারেও তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে পদপ্রত্যাশীদের নামের তালিকা জমা দেই। সেখানে বৈধ প্রার্থীদের তালিকাও ছিল ও অবৈধ প্রার্থীদের তালিকাও ছিল। আমরা তখন প্রধানমন্ত্রীকে বলি, আপনি (শেখ হাসিনা) যা করবেন সেটাই মেনে চলব। পরবর্তী সময়ে তিনিই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।