পায়েলের হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েলের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁর স্বজন, সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে নগরীর দামপাড়ায় হানিফ পরিবহনের কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী পায়েলকে নৃশংসভাবে হত্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। মানববন্ধন শেষে জিইসি মোড় ও দামপাড়া সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন অংশগ্রহণকারীরা। এ সময় নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর পঞ্চম সেমিস্টারের মেধাবী ছাত্র ছিলেন পায়েল। চট্টগ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে দুই বন্ধু শান্ত ও আদরের সঙ্গে হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসে চড়ে গত ২১ জুলাই শনিবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। ভোর ৪টার দিকে গজারিয়ার ভাটের চর ব্রিজের কাছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নামেন পায়েল। তখন বন্ধুরা ঘুমিয়ে ছিলেন।
পরে গাড়িটি ছেড়ে দিলে তড়িঘড়ি করে বাসে ওঠার সময় দরজায় ধাক্কা লেগে আহত হন পায়েল। কিন্তু এরপর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে উল্টো বাসের চালক ও সহকারীরা মিলে পায়েলকে পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দেয়।
২৩ জুলাই সোমবার পায়েলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়।
এর মধ্যে সুপারভাইজার জনি গত ২৫ জুলাই মুন্সীগঞ্জের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে জনি বলেন, ভোররাত ৪টার দিকে হানিফ পরিবহনের বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়ার ভাটের চর ব্রিজের কাছে যানজটে পড়ে। পায়েল তখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাস থেকে নিচে নামেন। হঠাৎ বাসটি চলা শুরু করলে পায়েল দৌড়ে বাসে উঠতে চান। কিন্তু দরজায় বাড়ি খেয়ে নাক, মুখ ফেটে গিয়ে অচেতন হয়ে বাইরে পড়ে যান। তৎক্ষণাৎ মৃত ভেবে তারা ব্রিজ থেকে অচেতন পায়েলকে নদীতে ফেলে দিয়ে গাড়ি মিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।