মিরপুরে ছারপোকা মারার ওষুধ খেয়ে শিশুর মৃত্যু!
রাজধানীতে মিরপুরে ছারপোকা মারার ওষুধ খেয়ে সুবর্ণা আক্তার ফাতেমা নামের দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গেণ্ডারিয়ায় ভবন থেকে নিচে পড়ে মারা গেছেন আবদুস সালাম (৫৬) নামের এক নির্মাণশ্রমিক। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বপ্না আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পৃথকভাবে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা কাজীরহাট গ্রামের শুভ ও সাথী আক্তারের একমাত্র মেয়ে সুবর্ণা। বাবা-মা পল্লবীর পাশে হরিরামপুরে থাকলেও শিশুটি মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের কালাপানি এলাকার বেগুনটিলা বস্তিতে নানা-নানির কাছে থাকত। শিশুটির বাবা শাহবাগে ফুলের দোকানে কাজ করেন।
নিহত শিশুর নানি নূরজাহান ও নানা মনির হোসেন জানান, সকালে নানা মনির হোসেন কাজের জন্য বাইরে যান। রুমের ভেতরে শিশু সুবর্ণাকে রেখে নানি নূরজাহান বাইরে রান্না করছিলেন। কিছুক্ষণ পর রুমের ভেতরে গিয়ে শিশুটিকে অস্বাভাবিকভাবে কান্নাকাটি ও বমি করতে দেখেন। পরে তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে পরে দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নূরজাহান বেগম জানান, কক্ষে একটি কাপের ভেতর ছারপোকা মারার ওষুধ রাখা ছিল। খাবার জিনিস মনে করে শিশুটি ওই ওষুধ খেয়ে ফেলেছে বলে তাঁদের ধারণা।
এদিকে, গেণ্ডারিয়ার মুরগিটোলা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন আবদুস সালাম নামের এক নির্মাণ শ্রমিক। পরে তাঁর সহকর্মী শাহ আলমসহ অন্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীর শাহ মসজিদ রোডের ব্লু মাঠের পাশে একটি বাসায় স্বপ্না আক্তার নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।
নিহতের শাশুড়ি সাহিদা বেগম জানান, এক বছর আগে তাঁর ছেলে শাওনের সঙ্গে স্বপ্নার বিয়ে হয়। এরপর ছয় মাস ধরেই সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। পরে আবার সমাধানও হয়ে যেত। আজ সকালে স্বপ্নাকে নিয়ে কুতুবখালীর এক আত্মীয়র বাসায় যান তিনি। সেখান থেকে দুপুর ১টার দিকে তাঁর কাছ থেকে চাবি নিয়ে একাই বাসায় চলে যান স্বপ্না। কিছুক্ষণ পরে সবাই বাসায় এসে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় স্বপ্নাকে দেখতে পায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো মর্গে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।