রাজশাহী ও বরিশালে জয়ের পথে নৌকা
রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। অন্যদিকে সিলেটে বিএনপির চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ।
আজ সোমবার রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মোট কেন্দ্র ১৩৮টি। বিভিন্ন সূত্র থেকে রাজশাহীর ১৩৮টি কেন্দ্রেরই ফলাফল পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
১৩৮টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন এক লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৯২ ভোট।
বরিশালে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৬টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৮০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মজিবর রহমান সরওয়ার পেয়েছেন ছয় হাজার ৮০ ভোট।
এদিকে সিলেটে ১৩৪ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টির ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫০৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৯৬ ভোট।
বরিশালে ভোটগ্রহণের সময় দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির প্রার্থী মজিবুর রহমান সরওয়ার।
এদিকে সন্ধ্যায় রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৬টি কেন্দ্র ব্যতীত অন্য দুটি সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে নির্বাচন ভালো হয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট। যেখানে সমস্যা ছিল সেখানে তো আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’
সিইসি আরো বলেন, ‘বরিশালের ১২৩ কেন্দ্রের মধ্যে সকালের দিকে কিছু বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিস্তারিত তথ্য নিয়েছি। এই বিষয়ে একটি কেন্দ্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে সকালেই। আরো ১৫টি কেন্দ্রে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ওই কেন্দ্রগুলোর ফলাফল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’