ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা সরোয়ারের
ভোট গ্রহণ শুরুর চার ঘণ্টার মাথায় নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার।
আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকালে ভোট দেওয়ার পরই গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।
পরে দুপুর ১২টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের এসে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী। এ সময় তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে ৭০-৮০টি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। অন্য যেসব কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা প্রবেশ করেছে, সেখানে সবাই মিলে সিল করেছে, নৌকার মার্কার সিল করেছে। এসব কারণেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।’
ধানের শীষের প্রার্থী আরো বলেন, ‘এখানে আওয়ামী লীগ সিল মেরেছে। আওয়ামী লীগকে প্রশাসন ন্যাক্কাজনকভাবে পক্ষপাতিত্ব করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।’
এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহাবুবও সংবাদ সম্মেলন করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে নগরীর সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সরোয়ার অভিযোগ করে বলেন, ‘পরিস্থিতি থমথমে। বিএনপির ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। তার পরও যদি শতকরা ২০ ভাগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনও হয়, তাহলে ধানের শীষ জিতবে।’
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বরিশাল সিটি করপোরেশনে দুই লাখ ৪২ হাজার ৬৬৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ ও নারী ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ (নৌকা), বিএনপির মো. মজিবর রহমান সরোয়ার (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওবায়দুর রহমান মাহবুব (হাতপাখা), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ (কাস্তে), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তী (মই) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল)।
বরিশাল সিটিতে ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ১২৩টি ভোটকেন্দ্র ও ৭৫০টি ভোটকক্ষ রয়েছে।