ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও মূল্যবান মালামাল লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রোববার সকালে ইউনিয়নের কাশিমাবাদ এলাকার আবদুল মালেক মেম্বার পক্ষ ও জাহাঙ্গীর পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুল মালেক মেম্বারের সঙ্গে সিদ্দিক ও জাহাঙ্গীরের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সিদ্দিক ও জাহাঙ্গীরের লোকজন মালেক মেম্বারের ভাই নাসিরকে মেরে হাত ভেঙে দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজন আজ সকাল থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মালেক মেম্বারের বাড়িসহ তাঁর সমর্থিতদের ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালায় সিদ্দিক ও জাহাঙ্গীরের লোকজন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
মাসুম নামের একজন জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এলাকায় না থাকায় গ্রামের লোকজন এমন ঘটনার সুযোগ পেল। তিনি থাকলে হয়তো এত বড় ঘটনা ঘটত না। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের বাবা তমিজ উদ্দিন আজ সকালে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার মীমাংসা করে দেওয়ার পর এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এর আগে কোনো দিন এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়নি এই এলাকার মানুষ।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।