ভারত সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায়
জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধিদল ভারত সফর করে এসে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে দিল্লি।
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত ২২ থেকে ২৫ জুলাই ভারত করে। এই সফর নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, সুনীল শুভ রায় ও মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার। সফরকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এই সফর নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
‘অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে’ এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের শীর্ষ স্থানীয় ওই তিন নেতার সঙ্গে প্রায় অভিন্ন বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
আলোচনার বিষয় সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘তাঁরা একান্তভাবে প্রত্যাশা করেছেন যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ যেন বজায় থকে। তাঁরা আরো বলেছেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে।’
ভারতের নেতারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় জাতীয় পার্টির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বলেও জানান জাপা নেতা। তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে থেকেও সরকারের সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন ভারতীয় নেতারা।
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত সুনিবিড়। জাতীয় পার্টির শাসনামলে সেই সম্পর্ক সু-উচ্চ মাত্রায় অবস্থান করেছে। আমরা এখন ক্ষমতায় না থাকলেও সেই সম্পর্ক রক্ষা করে চলছি। বন্ধুপ্রতীম ভারতও আমাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রক্ষা করে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, এই সম্পর্ক আগামী দিনে আরো সুদৃঢ় হবে।’
গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রি হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বাসভবনে গিয়ে তাঁকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি সফর করেন জাপা প্রতিনিধিদলের নেতারা।