কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন নাকচ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন নাকচ করেছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ কে এম শামছুল আলমের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলায় শুনানি করেন আইনজীবী কাইমুল হক। রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন।
কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী কাইমুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, হাইকোর্ট গত সোমবার বিষয়টি ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর আজ আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিকালে আমরা খালেদা জিয়ার জামিন চেয়েছিলাম। শুনানিকালে আমরা বলেছিলাম, ঘটনার সময় উনি গৃহবন্দি ছিলেন। মামলার এফআইআরে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না, অন্য আসামিরাও কেউ উনার নাম বলেননি। উনি বয়স্ক মহিলা। এ বিবেচনায় আমরা জামিন চেয়েছি। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
কাইমুল হক বলেন, আমরা এখানে ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করি, উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার পাব।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আটজন যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন ২০ জন।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। গত ১ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তখন আদালত ৮ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন। এরই মধ্যে তাঁর আইনজীবীরা হাইকোর্টে ১৮ জুলাই জামিনের আবেদন করেন। গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেন।