ইসি সরকারের মুখ চেয়ে কাজ করে : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধির নানা অনিয়মের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে জমা দিলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে আজ বুধবার বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও মন্ত্রী পদমর্যাদার নেতারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিন সিটি নির্বাচনে। সড়ক-মহাসড়ক দখল করে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করছেন তাঁরা। বড় পিকআপভ্যানে বিশাল কালার মনিটর লাগিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রচার চালাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনে এসব অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা সরকারের মুখ চেয়েই কাজ করছে। বর্তমানে ইলেকশন-গেট কেলেঙ্কারির মূল হোতা আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনগুলোকে অন্যায়ভাবে সরকারের অনুকূলে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি বারবার উপেক্ষা করছে কমিশন। এ নির্বাচন কমিশনের কাছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা অরণ্য রোদন, গল্পকথা মাত্র।’
‘বর্তমান কমিশন সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারছে না’ উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি ভোট সন্ত্রাসের বৈধতা দেওয়ার সিলমোহর হয়ে নির্বাচন কমিশন একের পর এক যে পর্বতপ্রমাণ অন্যায়গুলোকে জায়েজ করছে, নিত্যনতুন মডেল তৈরি করার জন্য একদিন তাদের চড়া মাশুল দিতে হবে।’
রিজভী আরো অভিযোগ করেন, ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। মনোনীত পোলিং এজেন্টসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজশাহী ও রাজশাহী মহানগরীর বাইরের বিভিন্ন থানার মামলায় চালান করে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখছি বলে এড়িয়ে যান’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বহুদিন ধরেই সরকারের টার্গেট। মিথ্যা মামলা, দীর্ঘদিন কারাগারে আটক, রিমান্ডে নির্যাতন তিনি সহ্য করেছেন। কিন্তু গত রোববার তাঁকে শারীরিকভাবে আক্রমণ সামগ্রিক সরকারি সন্ত্রাসের প্যারাডাইম শিফট। এই সন্ত্রাসী আক্রমণের নির্দেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান অবরুদ্ধ থাকার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি দেখছি বলে এড়িয়ে যান। এমনকি কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সব বিচারক বৈঠক করে তাঁর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন, মাহমুদুর রহমানকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। কিন্তু বিচারকদের নির্দেশ পালিত হয়নি।’