খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে বাদী মামলার জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী এ আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩০ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে প্রকাশ্যে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বা ঘৃণার ভাব সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত আনার অভিপ্রায় ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষাত্মকভাবে ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করেছেন।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
পরে মামলাটি শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত মামলাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শাহবাগ থানার একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের কটূক্তিপূর্ণ সমালোচনা করেন। বক্তৃতার একপর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’