কোটা আন্দোলনের নেতা ফারুককে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা দুই মামলায় কারাগারে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুক হাসানকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে কোটা আন্দোলনের নেতা ফারুক তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কোটা আন্দোলনরত নেতা ফারুককে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান জানান, আসামি ফারুক হাসানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা আগামী ২৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণে আজ পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপনের দাবিতে গত ২ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুককে মোটরসাইকেলে তুলে শাহবাগ থানায় দিয়ে আসেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে ফারুকের সন্ধান পাননি তাঁর বড় ভাই মো. আরিফুল ইসলাম। ফারুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশকে মারধর, কর্তব্যকাজে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করে। এসব মামলার মধ্যে উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান, আলী হোসেন শেখ, মাসুদ আলম ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বি। এ ছাড়া মশিউর রহমান নামের আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গত ২ জুলাই তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠায় পুলিশ। তাঁকে মিরপুরের ভাষানটেক বাজারের মজুমদার মোড়ের ১২ নম্বর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ওই মামলা করেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়।