রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট বসবে ২৯টি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে এবার ২৯টি পশুর হাট বসবে। হাটের বাইরে আবাসিক এলাকা ও সড়কে পশু বেচাকেনা করা যাবে না। পশুবাহী গাড়ির সামনে হাটের নাম লেখা থাকবে। ওই গন্তব্য ছাড়া পশুবাহী গাড়ি অন্য কোথাও থামানো যাবে না।
আজ রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক বৈঠক শেষে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘এবার কোরবানি উপলক্ষে হাটগুলোতে নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। ওই সীমানার বাইরে আবাসিক এলাকা ও সড়ক-মহাসড়কে কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া পশুবাহী গাড়িগুলোর সামনে গন্তব্যের স্থল ও হাটের নাম লেখা থাকবে। যাতে নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও না থামতে পারে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর এক কোটি ১৫ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। এবার আরো বেশি হবে। পশুর চামড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো যাতে পাচার না হয়, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পর্যাপ্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন আরো বলেন, ‘প্রতি বছর গরু মোটা তাজাকরণে ওষুধ ব্যবহার করা হয়। প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয়কে ওই ওষুধের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে ওষুধ আমদানি, সরবরাহ ও ব্যবহার রোধ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ আগস্ট ঈদ হতে পারে। ঈদ উপলক্ষে ঈদগাহ ও কোরবানির পশুর হাট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে থাকবে। প্রতিটি পশুর হাটে একটি করে পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। ঈদের আগের দিন অর্থাৎ আগামী ২১ আগস্ট শিল্প এলাকাগুলোর ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোরবানির পশুর হাট ও গার্মেন্টস মালিকদের বেতন আনা নেওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দিবে।’
ওই বৈঠকের আগে আগামী ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন উপলক্ষে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের কর্মসূচি নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’