ফরিদপুরের টাইমস ইউনিভার্সিটি অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ
ফরিদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম খাবাসপুরের টাইমস ইউনিভার্সিটির ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ২২৩ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে শিক্ষক-কর্মচারীসহ ১৯ জনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ২০১৩ সালে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পায় ফরিদপুরের টাইমস ইউনিভার্সিটি নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি। অনুমোদন পেয়েই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিয়ে ক্লাস শুরু করে দেয়। আর সেই সময় মোট ৬টি ব্যাচে বিবিএ কোর্সে ১৪০ জন, এমবিএ কোর্সে ৪৬ জন, এলএলবি কোর্সে ৩৭ জন মোট ২২৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। পরে ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পাঠ দানের অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী পাঠদানের অনুমোদন পেলেই কেবল ভর্তি ও ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ফরিদপুরের টাইমস ইউনিভাসির্টি কর্তৃপক্ষ এই নিয়মটি ভঙ্গ করে।
আজ দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন মো. হাসিবুল হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শরীফ এম আফজাল হোসেন আমাদের ভর্তি নিয়ে ক্লাস শুরু করে দেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হন বিবিএ,এমবিএ ও এলএলবি কোর্সে মোট ২২৩ জন ছাত্র-ছাত্রী। পাঠদানের অনুমোদনের আগেই ভর্তি করার কারনে এসব ভতিহওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে কোনো সার্টিফিকেট প্রদান করছে না। যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদানকৃত সার্টিফিকেট এখন কোনো কাজেই আসছে না তাদের। এ জন্য তাদের বয়স চলে গেলেও তারা কোনো চাকরিতে যেতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন মো. মোনয়েম বলেন, এই ঘটনা এ নিয়ে আমরা ২০ বার আন্দোলনে গেলাম। কিন্তু কোনো টনক নড়ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শরীফ এম আফজাল হোসেনের। তিনি বলেন, এই আন্দোলন করার কারণে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানো হয়েছে। তিনি শেষ কথা হিসেবে সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট ও শিক্ষক-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রাকিব নায়েম ছাত্র-ছাত্রীদের যৌক্তিক আন্দোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের কারণে গত বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীসহ ১৯ জনকে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। এখন তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে।