পুলিশ হত্যা মামলা, তিন আসামির স্বীকারোক্তি
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মো. মামুন এমরান খানকে হত্যার পর পুড়িয়ে বিকৃত করার মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি আদালতে স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তারের আদালতে আসামি ফারিয়া বিনতে মিম ওরফে মাইশা ও ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলামের আদালতে আসামি মিজানুর রহমান ও ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে মেহেরুন নেসা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার আসামি রহমত উল্লাহ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আনিসুর রহমান জানান, এ ছাড়া আজ এ মামলায় সুরাইয়া আক্তার কেয়া নামের আরেক আসামিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের( ডিবি) পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম তাকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১০ জুলাই দুপুরে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার একটি বন থেকে পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খানের হাত-পা বাঁধা পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একটি ট্রেনিং স্কুলে কর্মরত ছিলেন। এর পরে রহমত উল্লাহ নামের এক আসামিকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকার মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন খান গত ৮ জুলাই সকালে সবুজবাগ এলাকায় তাঁর ভাইয়ের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর পরে ১০ জুলাই গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় উলুখোলা এলাকায় শরীর ঝলসানো মৃতদেহ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেয়।
মামুনের নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর বন্ধু রহমত উল্লাহকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে গাজীপুরে আনা হলে তিনি মৃতব্যক্তিকে শনাক্ত করেন। গতকাল বুধবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত মামুন ২০০৫ সালে উপপরিদর্শক হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে (সিএমপি) যোগ দেন। এরপর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেন। সেখান থেকে ফেরার আগেই পরিদর্শক পদে তাঁর পদোন্নতি হয়।