জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের বৈঠকে আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব। 

আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, 'গতকাল ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সাহেব পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বাসায় এসেছিলেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে।’

‘জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কিছু কথা হয়েছে। সেখানে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—সেটা জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রত্যাশা,’ যোগ করেন জাপা মহাসচিব।

আজ জাপার এ দুই নেতা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কুড়িগ্রামের উলিপুর-চিলমারী আসনের উপনির্বাচন আলোচনা করেন বলে জানান। রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে। বরিশাল সিটি নির্বাচন নিয়েও কথা হয়েছে, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকে, সেটাই আমরা আশা করি।’

‘রংপুরের নির্বাচন, গাইবান্ধার নির্বাচন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করছি, উলিপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে,’ যোগ করেন রুহুল আমিন হাওলাদার।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি লিখিত বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির দুই সদস্যের এই প্রতিনিধিদল। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘কুড়িগ্রাম-৩ উপনির্বাচনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাদের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হোক।’

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘বিভিন্ন এমপিওভুক্ত, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রদানের পাঁয়তারা চলছে। যাতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ পেলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’