জন্ম থেকেই মস্তিষ্কে টিউমার, শিশুটি বাঁচতে চায়
মস্তিষ্কে টিউমার নিয়েই জন্মগ্রহণ করেছে শিশু জিহাদ। এখন তার বয়স আড়াই মাস। যত দিন যাচ্ছে, ততই বড় হচ্ছে মাথার পেছনের টিউমারটি। যেন মাথার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই প্রতিদিন বাড়ছে সেটি।
আর তাতেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে জিহাদের মা-বাবার। সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে যখন পরিবারটির আনন্দে ভাসার কথা, ঠিক তখন মেয়ের চিকিৎসার খরচের চিন্তায় দিশেহারা মা-বাবা।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চড়-ভাঙ্গুড়া খাঁপাড়া গ্রামে শিশুটির জন্ম। গত ৫ মে তার জন্ম। বাবা মো. সুজন আলীর। মা মেঘলা খাতুন রিতা।
দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান সুজন আলী। তাঁর সামর্থ্য নেই শিশুটির চিকিৎসা করার। কীভাবে ওই ছোট্ট শিশুকে বাঁচাবেন, তাও তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। এ নিয়ে দিশেহারা পরিবারটি।
জানা গেছে, আট বছর আগে মেঘলা খাতুনের সঙ্গে সুজন আলীর বিয়ে হয়। সুমাইয়া আক্তার সাহারা নামের তাদের সাত বছরের একটি মেয়ে আছে। জিহাদ মায়ের গর্ভে থাকার সময়ই টিউমারটি ধরা পড়ে।
টিউমার আক্রান্ত শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুব দ্রুতই ঢাকায় পাঠানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় শিশু ও নবজাতক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ নীতিশ কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘এই শিশুর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অস্ত্রোপচার দরকার। তাই ঢাকা অথবা বড় কোনো হাসপাতালে জরুরিভাবে শিশুর চিকিৎসা দরকার।’
শিশুটির বাবা সুজন আলী বলেন, ‘ডাক্তার সাহেব বলেছেন, বাচ্চার মাথার জয়েন্ট ছাড়াতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সরকার আর ডাক্তারদের সহায়তা ছাড়া চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। বেশ কয়েকটি হাসপাতালে দেখিয়েছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দিন যতই বাড়ছে, ততই বড় হচ্ছে তার টিউমারটি।’
শিশুটিকে নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা। তাঁরা এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চান। প্রতিবেশীরাও মানবিক কারণে এ শিশুর চিকিৎসা ও সুস্থ রাখতে সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।