ভৈরবে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ সদস্যের অনাস্থা
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু তাহেরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ওই ইউপির ১০ জন সদস্য। স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরে এর প্রতিকার চেয়ে সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত কপি জমা দেন তাঁরা। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরসহ স্থানীয় গণমাধ্যকর্মীদেরও অনাস্থা প্রস্তাবের কপি সরবরাহ করেন।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, উপজেলার ৭ নম্বর শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সার্জন (অব.) আবু তাহের ইউপি সদস্যদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরিষদ পরিচালনা করেন। তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে প্রতিবাদকারী সদস্যদের হুমকি-ধমকি দিয়ে দমিয়ে রাখার অপপ্রয়াসে লিপ্ত থাকেন।
এ ছাড়া আবু তাহের মনগড়া মতো প্রকল্প ঠিক করে পছন্দের একজনকে সভাপতি দিয়ে নিজেই সরকারি অর্থ একের পর এক আত্মসাৎ করছেন। রাজস্ব আদায়ের নামে বিনা রশিদে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুগত লোকজন। নাগরিকসেবা প্রদান নিয়েও টালবাহানার আশ্রয় নিচ্ছেন। এতে তাঁদের নির্বাচিত এলাকার নাগরিকরা তাঁদের প্রতি ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।
এসব বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নাজেহালসহ অশ্লীল গালাগাল ও হুমকির শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন অভিযোগকারী সদস্যরা। ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্যের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করা ১০ জন সদস্য হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম মিয়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলকাছ মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জাহের মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আক্তার হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহের মিয়া জারু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবু কালাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মতিউর রহমান এবং ১, ২ ও ৩ সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের শাহানা বেগম।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নকে ব্যহত করতে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভৈরবের ইউএনও মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল বলেন, ‘অনাস্থা প্রস্তাবের কপি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’