সারা দেশে ‘ইভিএম মেলা’র চিন্তা ইসির
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনকে (ইভিএম) ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় করার জন্য সারা দেশে মেলা করার চিন্তাভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ইভিএম ব্যাপকভাবে জনগণের কাছে পরিচিত করানোর জন্য সারা দেশকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে মেলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে বরিশালে একটি মেলা হয়ে গেছে। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) অংশ নিয়েছিলেন এবং সেখানে প্রচুর লোক দেখার জন্য এসেছিল। তারা ইভিএমের ব্যাপক প্রসংশাও করেছে।’
সচিব আরো বলেন, ‘এ ছাড়া ঢাকাতে কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা একটি মেলার ব্যবস্থা করব। সেটি জুলাই মাসে না করতে পারলে অক্টোবরে করব। প্রতিটি জেলায় দুটি করে ইভিএম পাঠিয়ে দেব। যেন মানুষজন ইভিএম বুঝতে পারে।’
আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে ইসি সচিব এসব তথ্য জানান। এ দিন তিনি আরো জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার চিন্তা করবে ইসি। তবে ব্যবহার করা হবে কি না এই ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ দিকে আজ সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জন্য ইভিএম-বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম অংশগ্রহণকারী নির্বাচন কর্মকতাদের ইভিএম ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ ও এ সংক্রান্ত আইন ও বিধির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের সংযোগ দেওয়া, ভোটগ্রহণের উপযোগী করা, ভোটার শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াসহ নানা বিষয় সম্পর্কে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে এই প্রশিক্ষণে।
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের চিন্তা
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, 'আগামী দিনগুলোতে যত ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সেখানে আমরা ইভিএম ব্যবহার করব। যদি এখানে আমরা কার্যকরী ফলাফল পাই তাহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কিছু কিছু কেন্দ্রে আমাদের ইভিএম ব্যবহার করার চিন্তা থাকবে। তবে ব্যবহার করা হবে কি হবে না এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এখনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।'
‘ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তারপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত আছে। এ ছাড়া আরপিও সংশোধনীর বিষয় তো আছেই। সব কিছু মাথায় রেখেই কিন্তু নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।'
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৫০০ উপজেলা নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারের ইচ্ছে আছে বলে মন্তব্য করেন ইসি সচিব। তিনি জানান, প্রতিটি ইভিএম ক্রয়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়।
বিএনপি বরাবরই ইভিএমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সেক্ষেত্রে তাদের মতামত নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে হেলালুদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনাররা কিন্তু বিএনপিকে বলেছেন, তাদের যে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আছে তাদের নিয়ে বিষয়টি যাচাই করার জন্য।