মেঘনায় নিখোঁজ নটরডেম ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় মেঘনা নদীর চর সোনারামপুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ নটরডেম ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে ভৈরবের মেঘনা নদীর কাঠপট্টি এলাকা থেকে একজন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আশুগঞ্জ-ভৈরব মেঘনা নদীর রেল সেতুর নিচ থেকে আরেক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী (ওসি) কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরা। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার নটরডেম ইউনিভার্সিটির সাত শিক্ষার্থী আশুগঞ্জে বেড়াতে আসেন। তারা সোনারামপুর চর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে গোসল করতে নামলে একপর্যায়ে ইসরাক মেহরাব ও প্রাপ্তি নামের দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকে আমি নিজে স্ট্যান্ডবাই দাড়িয়ে থেকে উদ্ধার অভিযান তদারকি করি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার জানান, গতকাল স্থানীয় প্রশাসন ও জেলেদের উদ্যোগে ডুবুরিরা অনেক খুঁজেও কাউকে পায়নি। পরে আজ সকাল ৮টা থেকে নৌ-বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ১৬ জন ডুবুরি নিখোঁজদের খোঁজে অভিযান চালাতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলেরা আশুগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনা নদীর রেল সেতুর মাঝখানে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর আগেই লাশ ভেসে ভৈরবের মেঘনা নদীর কাঠপট্টি এলাকায় চলে যায়। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে আশুগঞ্জ সার কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উদ্ধার হওয়া লাশটি নিখোঁজ শিক্ষার্থী প্রাপ্তির বলে নিশ্চিত হলে পরে তা প্রাপ্তির বাবা আহসান তানভীর ও মা নবনীতাকে বুঝিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
ইউএনও জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আশুগঞ্জ-ভৈরব মেঘরা নদীর রেল সেতুর নিচে নিখোঁজ শিক্ষার্থী মেহরাবের লাশ ভেসে ওঠে। সেখান থেকে নৌবাহিনীর ডুবুরি, ফায়ার সার্ভিস, আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ও নৌপুলিশের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে আশুগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ মেহরাবের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে।
চারপাশ দিয়ে পানিবেষ্টিত আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর চর সোনারামপুর একটি নির্জন এলাকা। এখানে প্রশাসনিকভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত বলে অনেকেই মনে করেন।