শ্রমিকরা এখন নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে।’
আজ রোববার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৪-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক সফলতায় দেশের ব্যবসায়ীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামীতে ইপিজেড থেকে রপ্তানি কারকদেরও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হবে। ১৯৭২-৭৩ অর্থ বছরে দেশের পাট, চা ও চামড়া রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩৪৮ কোটি টাকা। আজ ১৯৯টি দেশে বাংলাদেশের ৭৭২টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে এ রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’
বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তৈরী পোশাক রপ্তানি করে আয় হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরী পোশাক রপ্তানি থেকে গত বছর ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আয় হয়েছে ৩৩.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রপ্তানি কারকদের পলিসি সাপোর্ট ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এগুলোর বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ২৮তম অর্থনৈতিক শক্তি এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিনত হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশের ট্রেডিশনাল রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি নন-ট্রেডিশনাল আইটেম রপ্তানির উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। ৭ম পঞ্চবাষির্কী পরিকল্পনায় দেশের আইটি, ঔষধ, ফার্নিচার, কৃষিপণ্য এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য।