ভারতীয় ভিসায় ই-টোকেন লাগবে না
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন সফররত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বর্তমানে দেশে যে চারটি ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র চালু রয়েছে সেগুলো যমুনা ফিউচার পার্কে স্থানান্তরিত করা হলে এটিই হবে বিশ্বে সবচেয়ে বড় ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র।
আজ শনিবার দুপুরে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আধুনিক এই ভিসাকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে রাজধানীর চারটি ভিসাকেন্দ্রের কার্যক্রম নতুন এই কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যমান ই-টোকেন পদ্ধতি তুলে দেওয়া হবে।
এ সময় ফিতা কেটে নতুন এই ভিসাকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবধর্ন শ্রিংলাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাড়ে ১৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই বিশাল ভিসাকেন্দ্রে ভিসা প্রার্থীদের সেবা নেওয়ার জন্য প্রথমে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। কেন্দ্রটিতে এক সঙ্গে ৫০০ লোকের বসার ব্যবস্থা আছে। মোট ৪৮টি কাউন্টারের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী, জ্যেষ্ঠ নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং ব্যবসায়ীদের জন্য রয়েছে আলাদা কাউন্টার।
এদিকে রাজধানীর মতিঝিল ও উত্তরার ভিসাকেন্দ্রের কার্যক্রম আগামীকাল রোববার থেকে এই কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হবে। গুলশান ও মিরপুর রোডের ভিসাকেন্দ্র আগামী ৩১ আগস্ট থেকে বন্ধ করা হবে এবং সেই কার্যক্রমও এখানে নিয়ে আসা হবে।
অনুষ্ঠানে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কেউ আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। তবে ভিসাকেন্দ্রের সঙ্গে জড়িতদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো হয়।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক (আইটি) প্রধান ঝুমা দত্ত বলেন, ‘সাবমিশন টাইম থাকবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা। আর আমরা একটা ওয়েটিং টাইম বা অপেক্ষার সময় দিয়েছি। যখনই টোকেনটা বের হবে তখন সেটাতে ভিসা প্রার্থীরা সেই সময়টা পাবেন। তাঁরা বুঝতে পারবে যে, আমি ৪০ বা ৪৫ মিনিট পর ভিসাটা সাবমিট করতে পারব।’
‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এখন চারটা জায়গা থেকে ভিসার আবেদন করার সুযোগ আছে। এতে অনেকের অসুবিধাও হচ্ছিল। এখন একটা জায়গায় সবগুলো কেন্দ্রকে নিয়ে আসায় সব কিছু একটা জায়গা থেকেই হয়ে যাবে। এতে ভিসা প্রার্থীদের অনেক বেশি সুবিধা হবে’, যোগ করেন ঝুমা দত্ত।
গত বছর ভারত বাংলাদেশে ১৪ লাখ ভিসা দিয়েছে এমন তথ্য জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, নতুন এই ভিসাকেন্দ্র থেকে প্রতি কার্যদিবসে পাঁচ হাজারের মত ভিসা দেওয়া হবে। আর এটাই হবে বিশ্বে ভারতীয় ভিসাকেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় কেন্দ্র।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনের হাতে পাঁচ বছর মেয়াদী মাল্টিপল ভিসার কাগজপত্র তুলে দেন। পরে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।