মাদক সেবনে বাধা, স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ
গাজীপুরে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে এসিডে ঝলসে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। এ সময় আহত হয়েছেন ওই নারীর মা।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এসিড দগ্ধ মা-মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
এসিডে দগ্ধ নারীর নাম ফারজানা আক্তার (২০)। তাঁর মায়ের নাম শহরজান বেগম। ফারজানার স্বামীর নাম আল আমিন হোসেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন ফারজানার পরিবার। তাঁদের পাঁচ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মোটর মেকানিক আল আমিন ভালই রোজগার করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাদকাসক্ত। প্রতিদিন গাঁজা সেবন করলেও মাঝে মাঝে ইয়াবা সেবন করেন আল আমিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও বাসার ফ্রিজের ওপরে অনেকগুলো গাঁজার পোটলা দেখতে পান ফারজানা। পরে ওই গাঁজা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়।
পরে আল আমিন নিজেই তাঁর শ্বশুর আয়নাল হক ও শাশুড়ি শহরজান বেগমকে খবর দেন। আজ সকালে তাঁরা গাজীপুর ভাওয়াল এলাকা থেকে মেয়ের বাসায় আসেন। পরে পারিবারের সদস্যসহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে বাসার ভেতরেই একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে আল আমিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং মাদক সেবন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
এর কিছুক্ষণ পরে আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের শয়নকক্ষে যান। তখন সেখানে তাঁর স্ত্রী ফারজানা ছিলেন। আল আমিন তাঁর স্ত্রীকে বলেন, ‘তুই সবার সামনে আমাকে অপমান করেছিস’। এ কথা বলেই হাতে থাকা এসিডের পাত্র স্ত্রীর দিকে ছুড়ে মারেন। সঙ্গে সঙ্গে ফারজানা মুখ ফিরিয়ে নেন। এতে এসিড ফারজানার পিঠে লাগে। এ সময় দৌড়ে মেয়ের কাছে আসলে মা শহরজানের হাতও কিছুটা পুড়ে যায়। দুজনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ফারজানার পিঠে এবং তাঁর মায়ের হাতের কিছু অংশ ঝলসে গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।