১০ হাজার টাকা চুক্তিতে সাত বছরের শিশুকে খুন!
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় সাত বছর বয়সী শিশু মামুনের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে প্রতিবেশীরাই ভাড়াটে খুনি দিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে।
আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম নাসির মিয়া।
সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুটির বাবা সুজন মিয়া ১৭ লাখ টাকা সঞ্চয় করে রেখেছিল। এই টাকার কথা জানত প্রতিবেশী জয়নাল মাস্টার। আর এই টাকার লোভেই মামুনকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে জয়নাল ও তার ছেলে আরমান। নাসির মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকায় তারা ভাড়া করে। এরপর গত ২০ জুন নাসির মিয়া বাড়ির সামনে থেকে মামুনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রায় দুই দিন শিশুটিকে না খাইয়ে রাখা হয়। পরে দফায় দফায় বিভিন্ন কৌশলে তারা মামুনের পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে।
কিন্তু মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণের দুদিন পর জয়নাল মাস্টারের তিনতলা বাড়ির ছাদে এনে শিশু মামুনকে হত্যা করা হয়। ২৩ জুন অপহরণের তৃতীয় দিনে মামুনের হাত-পা বাঁধা ও গলায় গামছা পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়।
হত্যায় জড়িত সন্দেহে ও প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল জয়নাল মাস্টার ও তার ছেলে আরমানকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া ত্যথ্যের ভিত্তিতে রাজনগর এলাকার নাসির মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাসির মিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে সে হত্যার পেছনের ঘটনারও বিবরণ দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউর রহমান, ডিবি পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।