কারওয়ান বাজারের হাসিনা মার্কেটে আগুন
রাজধানীর উত্তর কারওয়ানবাজার ব্যবসায়ী জনকল্যাণ সমিতি মার্কেট ওরফে হাসিনা মার্কেটে আজ বুধবার বিকেলে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মামুন মাহমুদ।
আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে থাকা মামুন মাহমুদ এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামুন মাহমুদ বলেন, বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে মার্কেটের হাসান হোটেলে গ্যাসের সিলিন্ডার ছিদ্র হয়ে প্রথমে আগুন লাগে। এরপরে সেই আগুন হোটেলের নিচ তলাসহ টিনশেডের উপরের তলাতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আমরা পাঁচ মিনিটের ভেতরে ঘটনাস্থলে আসি। আমাদের আটটি ইউনিট এখানে কাজ শুরু করে। ২৫ মিনিটের ভেতরে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই আমরা। এখানে এখন সবাই মুভ করতে পারবেন। আর কোনো সমস্যা নেই।
সহকারী পরিচালক আরো বলেন, এখানে রিয়েল যে সিনারি সেটা কিন্তু একটু ভিন্ন। এখানে সব টিনের ঘর যেটা আগুনের জন্য ভয়ংকর। আমরা চাই এখানে পরিকল্পিতভাবে সব কিছু গড়ে উঠুক। হোটেল পর্যন্ত পানি পৌছাতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এখানে তেমন খুব বেশি কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তার আগেই আমাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিভে গেছে। তবে নিচের হোটেল এবং হোটেলের উপরের দু-একটি টিনের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ঘরগুলোতে ভাড়া হিসেবে কাচাবাজারে কর্মরত অনেকেই থাকেন। কিছু জামা-কাপড় ও কাঁথা বালিশ আগুনে পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হোটেলের কর্মচারী মো. ইমরান হোসেন বলেন, আগুন লেগেছে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। তাড়াতাড়ি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুনে পানি দিয়ে নিভায়। হোটেলের মূল মালিক দ্বীন মোহাম্মদ। কিন্তু তার ছেলে মিজান চালান হোটেলটি।
হাসিনা মার্কেটের ১৮৬ জন সদস্য আছেন। তার ভেতরে তিনটি দোকানের মালিক নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, এখানে এর আগেও তিনবার আগুন লেগেছিল। মার্কেট সমিতির যারা দায়িত্বে থাকেন তারা কোনো কাজ করেন না। অপরিকল্পিত স্থাপনাগুলো পরিকল্পিত করতে চায় না। মালিক সমিতির কাজ হচ্ছে শুধু টাকা খাওয়া।
হোটেলের ওপরে টিনের ঘরে থাকেন কারওয়ান বাজারে কাজ করা ইমদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার লুঙ্গি-গেঞ্জি, খেতা (কাঁথা), বালিশসহ সব পুড়ে গেছে। এখন না কিনে আর কিছুই পরার জন্য নেই। আগুন লাগার সাথে সাথেই সব পুড়ে গেছে। কিছুই বের করতে পারিনি।’